কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়কে প্রতিদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ব্যস্ততম এ সড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে কালনা ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার অংশের দু’পাশে বছরের পর বছর বালু রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
ঢাকা-বেনাপোল ভায়া নড়াইল-যশোর-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশে অসংখ্য বালুর চাতাল তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা- সেখানেই বালুবাহী ট্রাক লোড-আনলোড করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এভাবেই সরকারি রাস্তা দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা। বালু উড়ে এ সড়কে চলাচলকারীদের চোখ, মুখ ও নাকে যাচ্ছে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী শত শত বাস, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাস চালক রবিউল ইসলাম (৩০) বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে ঢাকা-খুলনা, যশোর, বেনাপোল, নওয়াপাড়াসহ ১০ জেলার শত শত যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে। জরুরী পণ্যসহ বিভিন্ন মাল এ সড়ক দিয়ে পরিবহন করা হয়। ব্যস্ত এ সড়কে বালু ব্যবসায়ীরা ট্রাক দাঁড় করিয়ে বালু লোড-আনলোড করে। এতে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে পারছি না।’
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. মো. শরিফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী সভায় আবারও বিষয়টি তোলা হবে। পাশাপাশি সড়ক ও সড়ক সংলগ্ন জায়গা দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বালু ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, এখানে ৫০ জন বালু ব্যবসা করে। সবাইকে দু’বার নোটিশ দিয়ে বালু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশই তা সরিয়ে নেয়নি। আমি বালু রাস্তা থেকে অনেক দূরে নিয়ে ব্যবসা করছি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এখানে সড়কের জায়গা দখলে নিয়ে বালুর ব্যবসা চলছে। এ বালু নদী ও সরকারের বালুমহাল থেকে উত্তোলন করে এখানে বিশাল বিশাল চাতাল করে মজুদ রাখা হয়।